1) চুইঝাল মসলা জাতীয় ফসল যা খাবারের স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
2) এটা শুধু মসলা নয় রয়েছে নানা রকমের ঔষধি গুণ। এর কাণ্ড, শিকড়, পাতা, শিকড়, ফুল, ফল, শাখা-প্রশাখা সবই ঔষধি গুণসম্পন্ন এবং মসলা হিসেবেও ব্যবহূত হয়। কাণ্ড বা লতা কেটে টুকরো টুকরো করে মাছ বা মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রান্নার পর গলে যাওয়া সেসব টুকরো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়া হয়। খুব ঝাল হলেও এর একটা অপূর্ব স্বাদ ও ঘ্রাণ আছে।
3) সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানসহ ঈদ পার্বণে চুইঝালের কদর অনেকগুণ বেড়ে যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল এবং যশোর এলাকায় চুইঝাল মসলা হিসেবে খুব জনপ্রিয়। চুইঝালে ০.৭ শতাংশ সুগন্ধি তেল রয়েছে। অ্যালকালয়েড ও পিপালারটিন আছে ৫ শতাংশ। তাছাড়া রয়েছে পরিমাণমতো গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্লাইকোসাইডস, মিউসিলেজ, সিজামিন ও পিপলাস্টেরল। চুইয়ের শিকড়ে রয়েছে ০.১৩ থেকে ০.১৫ শতাংশ পিপারিন, যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।
4) চুইঝাল গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। খাবারের রুচি বাড়াতে ও ক্ষুধামন্দা দূর করতে এটি কার্যকর। পাকস্হলী ও অন্ত্রের প্রদাহ দূর করতে এবং স্নায়ুবিক উৎতেজনা ও মানসিক অস্হিরতা প্রশমনেও বেশ উপকারী। এছাড়া শ্বাসকষ্ট, কফ, কাশি, ডায়রিয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও গায়ের ব্যথা দূর করতে ভালো কাজ করে। চুইঝালে প্রচুর আইসোফ্লাভোন ও অ্যালকালয়েড নামক ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। চুই লতা জাতীয় অর্থকরী ফসল। কাণ্ড ধূসর এবং পাতা কিছুটা লম্বা ও পুরু, দেখতে পানপাতার মতো সবুজ রঙের।
5) চুইয়ের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম চরঢ়বত্ ঈযধনধ। পরিবার পিপারেসি। চুই সাধারণত দুই রকমের হয়। একটির কাণ্ড বেশ মোটা ২০-২৫ সেন্টিমিটার, অন্যটির কাণ্ড চিকন, আকারে ২.৫ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গাছ ১০-১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত ও ছায়াময় উঁচু জমিতে সাধারণত চুই চাষ করা হয়। নার্সারিতে পলিব্যাগে কাটিং থেকে উৎপন্ন দু’মাস বয়সের চুইঝালের চারা বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ( এপ্রিল-মে) এবং আশ্বিন-কার্তিক (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে রোপণ করা হয়।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.